ভস্ম


অনিকেশ দাশগুপ্ত




রুপোলী চক্ষু খুবলে তোলো
যেকোনরকম জাগরণই আর সম্ভব নয় যেহেতু ,
ঘুমোতেও পারে কিংবা কোনো অলৌকিক দরোজা দিয়ে
অবিকল ইহলোকে পুনর্বার ,মাথা নুয়ে থাকাও সম্ভব
স্তবকের পর স্তবক খুলে ,অবশেষে এক অখণ্ড নাভি -
নাহ্, পরিযায়ী নয় ঠিক , ঘুমঘোরে কখন যে ইড়া পিঙ্গলার ফিনকি
তার করোটিবদ্ধ পাখি আজ, পেরিয়ে যাচ্ছে স্রাব তুষার পিনাক
অনন্ত শূন্যে অশ্রুগ্রন্থিসমূহ আর ব্যক্তিগত কান্নার নয়
বাউল হয়ে বেজে উঠছে সান্ধ্য আসরে কোনো
যদিও তিনরাত্রি চক্ষুষ্মাণ পৃথিবী ,শিশুস্লেটে লেখা হবে
যজ্ঞের মন্ত্রশ্লোক - ঈশ্বর অর্থ নিশ্চিহ্ন ঘুম
মুখোমুখি ভোরের গল্প

নেশা

 


অবশিষ্ট অন্ধকার থেকে তুমি চোখ ফেরাতে পারবে না শ্রী
এই ঝুঁকে থাকা সান্ধ্য পৃথিবী,
এই বিষাদের দিকে আহিত হেঁটে যাওয়া
আমাদের চিরন্তন নেশা

কেমন পর্দা সরে যায় ঘরে ঘরে সন্ধ্যের ধূপধুনায়
এক মানুষ অপর মানুষের সম্ভাব্য প্রার্থনা রে
এগিয়ে যায় তীর্থদেশে
হাল্কা চুড়ির শব্দও হাতের অংশত ফ্যাকাশে চামড়ায়
দিব্যি লেগে আছে এমন ধারালো ,এমন আগাগোড়া মিথ্যে
অলংকৃত ঈশ্বরকে জাগিও না আর
অবগাহনের দিকে কেউ ঘুরেফিরেই আসে -
নির্জনে একাকী নীলাভ স্নেহে
চূড়ান্ত হাস্যোজ্জ্বল তাদের মুখ,
এবং সাক্ষী থাকো এই নির্বাক বিরুদ্ধতার





           

No comments:

Post a Comment