খুলিমূর্ছনা


দেবযানী বসু



লোমশহৃদি পলাশের। প্রতিটি লোমকূপ বুদ্বুদ ছাড়ে।প্রতিটি বুদ্বুদেরই হাসিমুখ তালপাতার পাখা আছে। কিছুটা লজ্জা লবণ হয়ে ছড়ায়
অস্তিত্বে। ওখানেই আরাম আরাম। বাড়ি কাঁধে বয়ে হাঁটাহাঁটি থামে না কখনো। ক্লান্তির দার্শনিকতা পলাশের সিরাপ মাখে। বিদেশি হবার
মুহূর্তগুলো সন্ধিপ্রবণ।

ফুলকপির ফুটে ওঠা


সিসিফাসের পাহাড় ক্রমশ ছোট হয়ে গেছে। তাও তার নেই মুক্তি। শপথে লেগে যায় মড়াপোড়া গন্ধ। ফুলকপির শেষ রাত। পথভোলা কুয়াশা
আসে। হাতে হাতে গড়ে নিই শূন্যতা। আবার পৃথিবীতে ফেরা অর্থহীন বিস্ফোরণ নিয়ে অপেক্ষায়। নাক কুঁচকে কেঁদে ওঠা এক বিস্ফোরণ।
কতো কথা মৃতদেহের...

প্রনামপাঠ


গ্লাসে ভেজানো রাত‌‌। উড়াল সেতু থেকে ছুঁড়ে দিলেও মরে না। গল্পের ক্রিসক্রস সুতো আর গিঁট পরামর্শ করে। কিছু কিছু অপরাধ মাশরুমে
লুকিয়ে। সূর্যকেন্দ্রিক সব চাওয়া পাওয়া। স‍্যুপে আমার রান্নাকরা চোখ। দূরের শিবিরের রক্ত মাংস হাড় যন্ত্রণা সহ্য করি। রক্তে তাজা
বিরহের গন্ধ শতাব্দী পার করে।



1 comment: