তু-৯ ও কাঠবেড়া-৯

বীরেন্দ্রনাথ সপ্তসিন্ধু      




দুপুরে খাবার পর আমি বাগানে বসে ছবি আঁকি রং-তুলি দিয়ে।
আমার কাছে যেসকল তুলি আছে, সেগুলি কাঠবেড়ালির লেজের লোম দিয়ে তৈরি।
এককালে এ তুলির প্রচলন ছিল বেশী,এখন আর নেই।
এককালে কাঠবেড়ালির সংখ্যাও ছিল বেশী, এখন আর নেই।
এখন আমার বাগানের পেয়ারাগাছে রোজ দুপুরে,
একটি কাঠবেড়ালি কোথা থেকে এসে হাজির হয়।
আমার মনে পড়ে, ছেলেবেলায় পড়া নজরুল ইসলামের কবিতাটির কথা।
যদিও, এ অভাগার কুটিরে কোনো খুঁকি নেই,
দুধ-ভাত,গুড়- মুড়ি, বাতাবিলেবুরও বড় অভাব।

এখন আমি হাতে তুলি ধরে কাঠবেড়ালির কথা ভাবি।
কাঠবেড়ালিকে দেখলে পরে আমার হাজার হাজার -
এর কথা মনে পড়ে।



আঠারোর ডায়েরি

-- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -
হাতের কাছে কোনো কাজ নেই এখন।
এই শীতে বইপত্তরের যদি সর্দি লেগে যায়,এই ভয়ে কম্বলে মুড়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি ওদের। টেবিলের ওপর শুধু দাঁড়িয়ে আছেন ভাস্কর
চক্রবর্তী আর
সন্দীপন চাটুজ্জে, ঋজু হয়ে।
জানি, এ দুজন লোকের কখনও সর্দি হবে না,
তাই এদেরই নেড়ে -ঘেঁটে দেখি
কাল চাটুজ্জেবাবুর ডায়রি পড়তে পড়তে
অনুভব করলাম , আমার মাকুন্দ বদনে গুম্ফরেখা গজিয়েছে
জুলফি আর ঠোঁটের নীচে গজিয়েছে ঘাসেদের বন
হাতে কোণো কাজ নেই এখন,
কাজ অবশ্য কোনোকালেই থাকে না।
শুকনো পাশবালিশ জড়িয়ে ঘুমায়,
মাঝে মাঝে নুন-মশলা মাখানো বলিউডি সিনেমা দেখি।
মাঝে-সাঁঝে দেখি ছাল-চামড়া ছাড়ানো রোস্টের রেসিপি
বাথরুমে যায় ঘনঘন।
কবিতা লেখা বন্ধ এখন সম্পূর্ণভাবে।
-এ সবই চলছে, অনেকটা না চলারই মতো,
ও! হ্যাঁ,
ডায়রির পিছন পাতা খুলে আজ দেখলাম,
আর আঠারো দিন পর এইচ. এস.
 

2 comments:

  1. ।।এই দুটোই অন্যরকম স্বাদের লেখা। বহুদিন রেস থাকবে।।

    ReplyDelete
  2. বীরেন্দ্র গবেষণা করছে,পড়ছে,ভাল লাগছে...

    ReplyDelete